পটুয়াখালীর গলাচিপায় মাদক অভিযান চালাতে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর সুইচ গিয়ারের আঘাতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হলেও মাদক ব্যবসায়ী আটক করতে ভুল করেননি পুলিশ সদস্যরা।
জানা যায়, মঙ্গলবার দিনগত রাতে উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নে অভিযান চালাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হন ডিবি পুলিশের ৩ সদস্য। আহতরা হলেন-পটুয়াখালী গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত এএসআই সাইদুর রহমান, কনস্টেবল তানভীর ও মাহফুজ।
যদিও ওই অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মো. রনি হাওলাদার (৩০) কে আটক করেছেন ডিবি। এর আগে ডিবির একটি অভিযানে রনিকে আটক করা হলেও তিনি পুলিশের হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাদক সরবরাহ করে আসছিল রনি নামের ওই যুবক। পরিচয় গোপন করে ডাকুয়া ইউনিয়নের স্থানীয় কিছু লোক ডিবির কাছে এমন অভিযোগ করেন।
পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে ডিবির এসআই সম্বিত রায়ের নেতৃত্বে উল্লেখিত ইউনিয়নে অভিযান চালান তারা। মঙ্গলবার গভীর রাতে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বড় চত্রা এলাকার মো. হাবিবুর রহমানের বাড়ীর সামনে রনিকে আটক করে দেহ তল্লাশি চালালে তার শরীর থেকে ৩০০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার হয়। আটকের পর রনির সঙ্গে থাকা হাতলযুক্ত সুইচ গিয়ার চাকু নিয়ে দায়িত্বরত পুলিশকে এলোপাতারি আঘাত করে পালাবার উদ্দেশ্যে দৌড়ঝাপের এক পর্যায় একটি পরিত্যক্ত জলাশয়ে ঝাপ দেন। ডিবির সদস্যরাও এ সময় ওই জলাশয়ে ঝাপ দিয়ে রনিকে আটক করেন। রনি এ সময় পুলিশের হাত থেকে পালাতে ধস্তাধস্তিও করেন।
এর পূর্বে ডিবির সদস্যরা মাদকসহ রনিকে আটক করেছিলেন। কিন্তু রনি কৌশলে পুলিশের হাত কড়া নিয়ে পালিয়ে যান বলে জানান পুলিশের একটি সূত্র। রনি ওই এলাকার রেজাউল হাওলাদার ওরফে মাসুদের ছেলে।
আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমাদ মাঈনুল হাসান।